Landscape view not supported, please use protrait view!
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির গঠনতন্ত্র

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির গঠনতন্ত্র

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে মুজিব নগরে বেশকিছু মুক্তিযোদ্ধা চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী ও কলাকুশলীদের সমন্বয়ে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। যার নাম “মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী ও কলাকুশলী সমিতি”। জহির রায়হানকে সভাপতি, সৈয়দ হাসান ইমামকে সাধারণ সম্পাদক, খসরু নোমানকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল জব্বার খান’কে কোষাধ্যক্ষ এবং সুভাষ দত্ত, নারায়ন ঘোষ মিতা, আলমগীর কবির, আবু মুসা দেবু, মমতাজ আলী, অরুন রায়, সুবল দাস, সমর দাস, আজমল হুদা মিঠু, রাজু আহমেদ, এ. জে. মিন্টু, কবরী, ইকরাম বিজু সহ মোট ১৩৩ (একশত তেত্রিশ) জনকে সদস্য মনোনীত করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই সংগঠন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্নক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে তারা অবদান রাখে। এই সংগঠন থেকে জহির রায়হান পরিচালিত “ঝঞঙচ এঊঘঙঈওউঊচ নির্মাণ করা হয়। এই ছবিটি সারা বিশ্বে প্রদর্শিত হয় এবং বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেয়। বিশ্বের বিবেকবান মানুষ আমাদের এই মহান মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন জ্ঞাপন করে আন-র্জাতিক সহযোগিতার আহবান জানায়। এগিয়ে চলে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে। আমরা লাভ করি একটি স্বতন্ত্র ভূখন্ড, একটি মানচিত্র ও একটি পতাকা।

এক রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক আমরা। একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরাও অংগীকারবদ্ধ। একটি চলচ্চিত্রের স্রষ্টা একজন পরিচালক। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা চলচ্চিত্র পরিচালকরা বিশ্বাস করি সামাজিক অবক্ষয় রোধ, শোষণ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সু-সংহত করা, দেশজ সংস্কৃতি ও শিল্পের লালন ও বিকাশ সাধনের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদেরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা। কোন একক কর্ম প্রচেষ্টায় তা সম্ভব নয়। এই বিশ্বাসে আলোকিত হয়ে আমরা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালকেরা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পতাকাতলে সমবেত হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমাদের ভূমিকা পালনের শপথ গ্রহণ করছি।

স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা পরিচালকদের অনুপ্রেরণায় এবং তাদের সক্রিয় সহযোগিতায় ও আরও কিছু বিশিষ্ট পরিচালকের অংশগ্রহনে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম একটি স্বতন্ত্র পরিচালক সমিতি গঠন করা হয়। সৈয়দ হাসান ইমাম’কে সভাপতি, আজিজুর রহমানকে সহ-সভাপতি ও চাষী নজরুল ইসলাম’কে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তবে নানা কারণে এই কমিটির সায়ীত্বকাল দীর্ঘায়িত হয় নাই।

সংঘ স্মারক ও ঘোষণা পত্র

এরপর ১৯৮১ খ্রিঃ জনাব আলমগীর কুমকুম’কে সভাপতি এবং জনাব আমজাদ হোসেন’কে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে একটি আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি পুনরায় গঠন করা হয়। ১৯৮৪-৮৫ খ্রিঃ একটি গঠনতন্ত্র সাব কমিটির মাধ্যমে সমিতির গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হয়। এই গঠনতন্ত্র সাব কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ হলেন সৈয়দ হাসান ইমাম, সর্বজনাব আলমগীর কুমকুম, আবুল বাশার, মাসুদ পারভেজ, আজমল হুদা মিঠু, শিবলি সাদিক, আজিজ মেহের, দীলিপ বিশ্বাস ও এহতেশামুর রহমান। এরপর সময়ের বিবর্তন, পরিসিতির পরিবর্তন, কর্মকান্ডের ব্যাপক বিসতৃতি, সাংগঠনিক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস, চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় সাধন তদুপরি দেশীয় ও আন-র্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে সমিতির বহুবিধ ভূমিকা পালনের প্রয়োজনীয়তার কারণে সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধন পরিমার্জন ও পরিবর্ধন একান- অপরিহার্য হয়ে পড়ায় ১৯৯২-৯৩খ্রিঃ কার্যকরী পরিষদ গঠনতন্ত্র সংশোধন কল্পে উক্ত পরিষদের কার্যকরী সদস্য জনাব নজমুল হুদা মিন্টু’কে দায়িত্বভার অর্পন করে। জনাব নজমুল হুদা মিন্টু বিগত ২৬/৬/৯২খ্রিঃ গঠনতন্ত্র সংশোধনী কল্পে আহুত বিশেষ সাধারণ সভায় কতিপয় সংশোধনী পেশ করেন। উক্ত বিশেষ সাধারণ সভায় আরও কিছু সংশোধনী সহ পেশকৃত গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়।

অতঃপর যা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির গঠনতন্ত্র-৯২ বলে গণ্য হয় এবং এই সংশোধিত গঠনতন্ত্রের আওতায় এ যাবৎ সমিতির কার্যক্রম ও নির্বাচন পরিচালিত হয়ে আসছে।

সমিতির নিবন্ধীকরণ এর সংঘ স্মারক ও গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস-াবনা ঃ

সম্মানিত সদস্যবৃন্দের দীর্ঘদিনের দাবী এবং ২০০১-২০০৩ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল সমিতির নিবন্ধীকরণ ও গঠনতন্ত্র সংশোধন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি (২০০১-২০০৩) কার্যনির্বাহী পরিষদ দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে নিবন্ধীকরণের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালায়। বিগত ২৭শে জুলাই ২০০২খ্রিঃ তারিখে সমিতির নিবন্ধীকরণ সনদপত্র ও ১৮৬০ সালের সোসাইটিজ রেজিষ্ট্রেশন আইন মোতাবেক নিবন্ধীত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এর আর্টিকেলস অব মেমোরেন্ডাম (সংঘ স্মারক) লাভ করে। সমিতির নিবন্ধীকরণ সনদপত্রের নম্বর (ঈবৎঃরভরপধঃব ড়ভ জবমরংঃৎধঃরড়হ ড়ভ ঝড়পরবঃরবং অপঃ ঢঢও ড়ভ ১৮৬০, ঝ-২৮৫১(৩৬৪)২০০২ “বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি” এরই প্রেক্ষিতে সমিতির নিবন্ধীকরণ সনদপত্র ও আর্টিকেলস অব মেমোরেন্ডাম (সংঘ স্মারক) সংযুক্ত করে আমাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন জরুরী বিধায় ২০০১-২০০৩ খ্রিঃ কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে নজমুল হুদা মিন্টু গত ৩০/৮/০২খ্রিঃ তারিখের গঠনতন্ত্র সংশোধনী সাধারণ সভায় সমিতির নিবন্ধীকরণ সনদপত্র ও আর্টিকেলস অব মেমোরেন্ডাম (সংঘ স্মারক) সংযুক্ত করে সমন্বিত সংশোধনী পেশ করেন। অতঃপর যা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধনী ২০০২ বলে গণ্য হয়।

সময়ের বিবর্তনে উৎকর্ষতায় চলচ্চিত্র শিল্প আজ বহুমাত্রিক অবসানে অবসান করছে। এরই আলোকে আবারো প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির গঠনতন্ত্রের পরিমার্জন ও সংশোধন। তাই গত ১০/০৩/২০০৯ খ্রিঃ পরিচালক সমিতির কার্যনির্বাহী সভায় জনাব সাঈদুর রহমান সাঈদ’কে আহবায়ক করে এবং সর্ব্বজনাব চাষী নজরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন ফারুক, সেলিম আজম ও মুশফিকুর রহমান গুলজার’কে সদস্য ও জনাব নজমুল হুদা মিন্টু’কে সদস্য সচিব মনোনীত করে গঠনতন্ত্র সংশোধনকল্পে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

উক্ত কমিটি নিুলিখিত সংশোধনীসমূহ কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনের জন্য প্রস-াব আকারে পেশ করে। গত ২৮/০৩/২০১০খ্রিঃ পরিচালক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ এর সভার অনুমোদনক্রমে অদ্য ২৩/০৪/২০১০খ্রিঃ গঠনতন্ত্র সংশোধনী সাধারণ সভায় সম্মানিত সদস্যবৃন্দের অবগতি ও সিদ্ধান- গ্রহণের জন্য আমি নজমুল হুদা মিন্টু গঠনতন্ত্র সংশোধনী উপ কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে কতিপয় সংশোধনী প্রস-াব আকারে পেশ করছি। এই সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হলে তা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির গঠনতন্ত্র-২০১০ বলে গণ্য হবে।
১৮৬০ সালের সোসাইটিজ রেজিষ্ট্রেশন আইন মোতাবেক নিবন্ধীত
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি
এর
সংঘ স্মারক ও ঘোষণাপত্র
ধারা ঃ ক- এই সোসাইটির নাম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ।


ধারা ঃ খ- এই সোসাইটির রেজিষ্ট্রার্ড অফিস ঢাকায় সাপিত হবে। প্রয়োজনবোধে বাংলাদেশের অন্য কোন সানে বা বিদেশে সমিতির শাখা দপ্তর সাপন করা যাবে।

ধারা ঃ গ-কার্যক্রমের আওতাভূক্ত এলাকা ঃ সমগ্র বাংলাদেশ।

ধারা ঃ ঘ-সমিতির মনোগ্রাম ও নিজস্ব পাতাকা থাকবে।

ধারা ঃ ঙ-প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যকারীতা ঃ
( চলমান পাতা ঃ ৩ ঃ)
( পাতা ঃ ৩ ঃ)
ধারা-চ ঃ লক্ষ্য, আদর্শ ও উদ্দেশ্য
(১) সমিতির সকল সদস্যের স্বার্থ সংরক্ষণ করাই হবে সমিতির প্রধান লক্ষ্য।

(২) দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলন, সামাজিক অবক্ষয় রোধ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারাকে সু-সংহত করার লক্ষ্যে দেশের মানুষের সমস্যা ও তার সমাধানের ইঙ্গিত নান্দনিকভাবে তুলে ধরার ব্যবসাকরণ।

(৩) বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়ন, প্রসার ও প্রচারের জন্য কাজ করে যাওয়া এবং নিজেদের মধ্যে গঠনমূলক সমালোচনা ও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদেরকে ক্রটিমুক্ত করে উন্নতি ও গ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

(৪) বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে সর্বপ্রকার দেশী বিদেশী শোষণ, অন্যায় ও অত্যাচার থেকে রক্ষা করা এবং তার সর্বাঙ্গীন উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য সমিতির মাধ্যমে কাজ করে যাওয়া।

(৫) চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নকল্পে প্রয়োজনবোধে চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠন, সমিতি, সংসা বা পরিষদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় চলচ্চিত্র ফেডারেশন গঠন করা।


(৬) চলচ্চিত্র শিল্পের সকল কর্মীর সঙ্গে পারস্পরিক সৌহার্দ্য সমন্বয় সাধন ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলা।

(৭) চলচ্চিত্র কর্মীদের সার্বিক সমস্যাবলী সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া।

(৮) দেশজ শিল্প সংস্কৃতির লালন ও বিকাশ সাধনের মাধ্যমে শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া।

(৯) চলচ্চিত্র বিষয়ক সকল কাজকর্ম সম্পাদনের লক্ষ্যে সাময়িকী, বই, বিজ্ঞাপন এবং রির্পোট প্রকাশ করা।

(১০) চলচ্চিত্র শিল্পের সকল কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য লাইব্রেরী, মিউজিয়াম, ক্লাবঘর এবং বিনোদনের ব্যবসা করা।

(১১) শক্তিশালী গণমাধ্যম চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মৌলিক ও মানবাধিকার লংঘন রোধ ও নারী এবং শিশু অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে উৎসাহিত করা ।

(১২) লিঙ্গ ভেদে সম্পর্ক উন্নয়ন (উবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ভ এবহফবৎ জবষধঃরড়হ) ও পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যবসা করা।

(১৩) চলচ্চিত্রের যুব সমাজের মধ্যে পুঁজি গঠনমূলক কর্মসুচী চালু করে আত্ম কর্মসংসান ও আয়মূলক কার্যক্রম প্রবর্তন ।

(১৪) দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা এবং দারিদ্র্য বিমোচন করে স্বনির্ভরতা আনয়ন করা।

(১৫) প্রাকৃতিক দূর্যোগ, রোগ-ব্যাধি ও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস পরিবারবর্গের জন্য ত্রাণ ও পূনর্বাসনের ব্যবসা করা।

(১৬) শিশু কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক-বয়স্কাদের মানসিক ও দৈহিক উন্নতি বিকাশের জন্য ত্রুীড়া, সংস্কৃতি ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম প্রবর্তন করা।

(১৭) চলচ্চিত্রের সার্বিক উন্নয়নকল্পে নান্দনিক ও কারিগরী প্রশিক্ষণের ব্যবসা করা।
( চলমান পাতা ঃ ৪ ঃ)
( পাতা ঃ ৪ ঃ)

(১৮) ইৎড়ঃযবৎযড়ড়ফ ঃযৎড়ঁময সড়ারবং এই নীতির আলোকে বর্হিঃবিশ্বের চলচ্চিত্র কর্মীদের সাথে শানি-, সমৃদ্ধি সাহায্য ও ভ্রাতৃত্ব সাপনে সমন্বয় সাধন এবং যে কোন দেশের বিপন্ন ও বিপর্যস- মানুষের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা ও চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন সাধন করা।

(১৯) সমিতির উন্নতির জন্য সদস্যদের সমন্বয়ের মাধ্যমে পুঁজি গঠন এবং পরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগ করে সদস্যদের জীবন মানকে সমৃদ্ধ করা।

(২০) সংগঠনের সদস্যদেরকে জাতীয় ও আন-র্জাতিকভাবে চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ ও প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র তথা সমাজ উন্নয়নের কাজে প্রয়োগ করা।

(২১) জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডে চলচ্চিত্র কর্মীদের উদ্ধুদ্ধ করা। দেশের সার্বিক উন্নয়ন, সুন্দর, মনোরম, সুষ্ঠু শান- ও বিশ্বের প্রশংসিত পরিবেশ গঠনের কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস-বায়ন করা।

(২২) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজ ও অধিকার বঞ্চিত প্রত্যেকটি মানুষের ন্যায় সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস-বায়ন করা।


১৮৬০ সালের সোসাইটিজ রেজিষ্ট্রেশন আইন মোতাবেক নিবন্ধীত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি
এর
গঠনতন্ত্র
ধারা-১ : নাম

ক) এই সংগঠনের নাম হবে “বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি”। আন-র্জাতিক ক্ষেত্রে ভাব, মত ও পত্র বিনিময়ের জন্য ইংরেজীতে এর নাম হবে ইধহমষধফবংয ঋরষস উরৎবপঃড়ৎং অংংড়পরধঃরড়হ সংক্ষেপে ই. ঋ. উ. অ.

খ) এর সদর দপ্তর ঢাকায় সাপিত হবে। প্রয়োজনবোধে সমিতির অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশের অন্য কোন সানে বা বিদেশে সমিতির শাখা দফতর সাপন করা যাবে।

গ) সমিতির মনোগ্রাম ও নিজেস্ব পতাকা থাকবে।

ধারা-২ ঃ সদস্যপদ

সমিতির সদস্যপদ দুই ভাগে বিভক্ত । যথা (১) সহযোগী সদস্য (২) পূর্ণ সদস্য।

ক) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্য পদ লাভে ইচ্ছুক যে কোন চলচ্চিত্র নির্মাতাকে অবশ্যই প্রথমতঃ সহযোগী সদস্য পদ লাভ করতে হবে।

খ) পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশের যে কোন সুস নাগরিক সমিতির গঠনতন্ত্র এবং গঠনতন্ত্রে বর্ণিত আদর্শ, উদ্দেশ্য, কর্মসূচী, নিয়ম শৃঙ্খলা ও সমিতির সদস্য পদ দান সংক্রান- নীতিমালা মেনে চলার অংগীকারের ভিত্তিতে তিনজন কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যের সুপারিশক্রমে এই সমিতির সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে সহযোগী সদস্যপদ লাভ করবেন।

গ) সিনেমা হলে প্রদর্শনযোগ্য ডিজিটাল ১৬ এম. এম., ৩৫ এম. এম., ৭০ এম. এম. চলচ্চিত্র যারা নির্মাণ করতে চান, তারাই পরিচালক সমিতির সহযোগী সদস্য পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ঘ) তবে উরমরঃধষ ঋড়ৎসধঃব এর ঈরহবসধ নির্মাণে আগ্রহী নির্মাতাদের তার নির্মাণ প্রসতির পূর্বেই পরিচালক সমিতির সহযোগী সদস্য পদের জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে আবেদন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবেনা এবং নির্মিতব্য চলচ্চিত্রটিকে অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের জন্য নির্মিত হতে হবে। সহযোগী সদস্যপদ ও পূর্ণ সদস্য পদ প্রদানের সার্বিক ক্ষমতা কার্যনির্বাহী পরিষদ সংরক্ষণ করবে।

ঙ) পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে পরিচালক সমিতির সহযোগী সদস্যপদ লাভের জন্য এককভাবে আবেদন করতে হবে এবং সহযোগী সদস্যপদ লাভ করতে হবে। পরবর্তীতে যদি তিনি পরিচালক সমিতির অন্যকোন সহযোগী সদস্যের সাথে যৌথভাবে ছবি পরিচালনা করতে চান সেক্ষেত্রে তাকে পরিচালক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ বরাবর আবেদন করতে হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদ অনুমোদন দান করলে উভয় সহযোগী পরিচালক যৌথ পরিচালক হিসাবে ছবি নির্র্মাণ করতে পারবেন।

চ) সহযোগী সদস্যপদ প্রাপ্ত পরিচালকের ১(এক)টি পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সেন্সর ছাড়পত্র লাভের পর তিনি পরিচালক সমিতির পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সার্বিক পর্যালোচনার পর কার্যনির্বাহী পরিষদ বিষয়টি বিবেচনা করতে পারবেন। পূর্ণ সদস্যপদ প্রদানের অধিকার নির্বাহী পরিষদের হাতে সংরক্ষিত থাকবে।

ছ) বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কলাকুশলীবৃন্দ যেমন সিডাব সদস্য, চলচ্চিত্র গ্রাহক, চলচ্চিত্র সম্পাদক, চলচ্চিত্র অভিনেতা অভিনেত্রী, সংগীত পরিচালক, শিল্প নির্দেশক, নৃত্য পরিচালক ও অন্যান্য কারিগরী শাখায় কর্মরত ব্যক্তিবর্গ এবং চলচ্চিত্র অঙ্গনের ভেতরে ও বাইরে শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্যের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গ অথবা স্বল্পদৈর্র্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ফিল্ম ইন্সষ্টিটিউট থেকে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ যারা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করতে ইচ্ছুক তারাও পরিচালক সমিতির সহযোগী সদস্য পদের জন্য আবেদন করলে কার্যনির্বাহী পরিষদ তা বিবেচনা করতে পারবেন।

জ) বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন কোন বিদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক যদি বাংলাদেশের কোন চলচ্চিত্র প্রযোজকের ছবি পরিচালনা করতে আসেন, তবে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির অনুমতিপত্র গ্রহণের জন্য আবেদন করতে হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদ তাঁকে একটি অনাপত্তিপত্র প্রদান করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সহযোগী সদস্য পদের ধারাবাহিকতা প্রযোজ্য হবেনা এবং তাদের ভোটাধিকার থাকবে না।


ধারা-৩ ঃ সদস্য উপধারা-০১

সমিতির পূর্ণ সদস্যপদ ও সহযোগী সদস্যপদ প্রার্থীকে নিম্নে বরï